ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসের প্রথম সেশনটা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উপর তাণ্ডব চালিয়েছিল শ্রীলঙ্কার বোলাররা। দুমড়েমুচড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে মুশফিক-লিটন টেনে তুলে স্বাগতিকদের। দুই জনের ব্যাটে চড়ে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল।
তবে তার আগেই লিটনের ব্যাটে ধরা দেয় ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি।
এরপরই সেঞ্চুরির দেখা পান চট্টগ্রাম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহীমও। মুশফিক তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারে নবম সেঞ্চুরি। ২১৮ বলে ১১ চারে সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। এই নিয়ে টানা দুই টেস্টে সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করলেন ৩৪ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এর আগে ১৫০ বল খেলে ১৩ চারে লিটনও দেখা পান সেঞ্চুরির।
মিরপুরে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেন একই সমান্তরালে হাঁটছেন দুই বাংলাদেশি ব্যাটার লিটন ও মুশফিক। লাঞ্চ বিরতি কাটিয়ে এসে প্রথমে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন। এরপর লিটনের পথে ধরে ঐ সেশনেই ফিফটির দেখা পান মুশফিকও। দুই ব্যাটারের ফিফটিতে ভালো অবস্থানে থেকে চা পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
চা পানের বিরতি থেকে এসে সাবলীল ভঙ্গিমায় ব্যাট চালিয়ে শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন লিটন। সমান্তরালে থাকা মুশফিকও সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি। তবে লিটনের চেয়ে মুশফিকের শতকে ছিল কিছুটা ধীর গতি। ১৪৯ বলের মোকাবিলায় ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন লিটন। আর ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি করতে মুশফিকের প্রয়োজন হয় ২১৮ বল। ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে চট্রগ্রামের পর ঢাকায়ও সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক।
আর মাত্র একটি শতকের দেখা পেলে টেস্টে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরির সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারবেন মুশফিক। ক্রিকটের দীর্ঘতম এই সংস্করণে বাংলাদেশ হয়ে সর্বোচ্চ ১১টি সেঞ্চুরির মালিক মুমিনুল হক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০টি শতক আছে ওপেনার তামিম ইকবালের ঝুলিতে।